মূল: ওয়াসিম আব্বাস, উর্দু নিউজ, ইসলামাবাদ।
অনুবাদ: হাসান আল মাহমুদ, বার্তা সম্পাদক, তামাদ্দুন টোয়েন্টিফোর ডটকম।
তালেবান মুখপাত্র সুহাইল শাহীন বলেন, আফগান ক্রিকেট টিমের খেলা জারি থাকবে। ক্রিকেটের উন্নতি সাধনে আমরা অতীতের ন্যায় কাজ করব। যে সময় আমরা ক্ষমতায় ছিলাম, তখন আফগান ক্রিকেটতো আমরাই সারাবিশ্বে চিনিয়েছি।
বাংলাদেশি পত্রিকা যুগান্তরের মিথ্যাচার |
তালেবান এই মুখপাত্র নিজের ক্রিকেট খেলা দেখার স্মৃতি তুলে ধরে বলেন, আমার মনে পড়ে, যখন আমি ও মোল্লা আব্দুস সালাম জায়ীফ ভাই আমাদের তালেবান শাসনামলে আমাদের খেলা দেখতে পাকিস্তান সফর করেছিলাম। ইসলামাবাদে আফগানিস্তানের সাথে পাকিস্তানের খেলা ছিল। তখন আমি আর জায়ীফ সাহেব টেস্ট ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলাম। সরাসরি খেলা দেখার অভিজ্ঞতাই অন্যরকম। সে খেলা দেখে কী মজাটাই না পেলাম। আমাদের আফগান খেলোয়াড়রা সে সময় প্রচুর চেষ্টা করেছিল ম্যাচ জিততে। পাকিস্তান ও আমাদের দেশ আফগানিস্তানের সে খেলায় পাকিস্তান জিতলেও খুব কম ব্যবধানে জিতেছে।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে আফগান ক্রিকেটার রশিদ খান এক টুইট বার্তায় ভীত হয়ে বলেছিলেন, 'আমার দেশ সংকটের শিকার, আমাদেরকে যেন বিশ্ববাসী এ অবস্থায় ছেড়ে না দেয়।'
এদিকে আফগান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান হিকমত হাসান উর্দু নিউজকে বলেন, আফগানিস্তান ক্রিকেট টিম সামনের মাসে পাকিস্তানের সাথে শ্রীলঙ্কায় সিরিজ খেলতে সফর করবে। আমরা আশা করছি এই সফরটি নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না।
তালেবান ক্রিকেটপ্রেমী
আফগানিস্তানের ক্রিকেট বোর্ডে কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা উর্দু নিউজকে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আফগানিস্তানের ক্রিকেটকে যারা ভালোবাসে তারা সবাই তালেবানদের ক্ষমতায় আসা নিয়ে ক্রিকেট বিষয়ে কোনো টেনশনই করেন না। কারণ সবাই জানে, তালেবান ক্রিকেটপ্রেমী।
বাংলাদেশি পত্রিকা কালের কন্ঠের মিথ্যাচার |
এই কর্মকর্তা আরও জানান, এটা স্বীকৃত যে, আফগানিস্তানে জাতীয়ভাবে ক্রিকেটের অধিক প্রচলন তালেবানদের শাসনামলেই হয়েছে। সে সময় থেকে উন্নতি হতে হতে এখন সারাবিশ্বে আফগান ক্রিকেট দলটি অন্যতম সেরা টিমে পরিণত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অতীতে তালেবান নিয়ন্ত্রিত যেসব প্রদেশ ছিল কিংবা দখলে নিয়েছেন, সেখানকার ক্রিকেটারদের তারা নিরাপত্তা দিয়েছেন। কাউকে কোনো ক্ষতি করেননি।
এই কর্মকর্তা আরও জানান, ক্রিকেট ড্রেস বা পোশাক নিয়েও তালেবান কখনো কোনো আপত্তি করেননি। হ্যাঁ, তালেবান সেসময়ের শাসনামলে ফুটবল খেলায় প্রচলিত পোশাক (হাঁটুর উপর প্যান্ট, যা মুসলমানদের ফরজ তরক হওয়ার কবিরা গুনাহ হয়) নিয়ে আপত্তি করেছিল।
-এইচএএম
উর্দু নিউজ |
0 মন্তব্যসমূহ