ওয়াজকাণ্ড
জগলুল হায়দার
এই বাংলার কৃষিজীবী মুসলমানের ঘরে
ওয়াজ গেছে মুফত শিক্ষা-উপদেশের বরে।
নগরজীবী প্রান্তজনের উষ্ণতাহীন শীতে
ওয়াজ আছে খুব সুরেলা বিনোদনের গীতে।
ওয়াজ খালি ওয়াজ তো নয় ইতিহাসে তাকা
ব্রিটিশরাজের বুকে ওয়াজ দ্রোহের মোহর আঁকা।
ওয়াজ ছিল স্বাধীনতায়, নিস না সেটা জেনে
আবহমানকাল থেকে তা এদেশবাসি চেনে।
আজো চলে সেই ওয়াজ তাই দেখেই পড়ে ফোসকা?
বাম লাগা আর সর্দি হলে খা কিনে ভাই তুসকা।
তাও খােয়েছিস ফার্মেসিতে, লাভ হয় নাই তাতে?
-কেমনে হবে? শরীরে নয় ঘা হয়েছে আঁতে।
হায় রে সোনা চাঁদের কণা বলবি না তা আগে
অন্তরে ঘা হলে কারো, বাম কি কাজে লাগে?
বামের থেকে ঘুর না ডানে, দূর না খানিক কাছে
বুকের ভিতর হৃদয় যেথায় তোর ঘুমিয়ে আছে।
জাগা ওটা, লাগা গোটা ভাবের মলম জোরে
হুজুর বলে ধর্ম কথা তাই শুনে মন পোড়ে?
পুড়বে না মন রাখিস যদি হিংসাগুলা তুলে
দ্বেষ ছেড়ে ফের মানুষ যদি হইতে পারিস মূলে।
ফল পাবি তুই বলছি দাদা, এক্কে হাতেনাতে
সব হুজুরই নয় রে সহি তাও জেনে নিস সাথে।
ভুল কিম্বা আবেগ কারো হয় তো খানিক জাগে
এতো আবেগ নিস মেনে তয় এতেই খালি লাগে?
নাটক আবেগ, ফিল্মে আবেগ, আবেগ খেলার মাঠে
কল্পনাদের আবেগ ইভেন নোভেল বইয়েও ফাটে।
সেসব নিয়া নাই ঝামেলা নাই বাতেলা মিথে
হুজুর খানিক গল্প দিলে সেটাই লাগে তিতে!
না সোনা, এ নয় তো ভালো, বিচার এটা না রে
অবিচারের নয়-নমুনাই বরং এতে বাড়ে।
তাইলে আসল চিকিৎসা নে বলছি ঝেড়ে কেশে
ওয়াজ ছিলো, ওয়াজ আছে, থাকবে বাংলাদেশে।
0 মন্তব্যসমূহ