শিরোনাম

[getTicker results="10" label="random" type="ticker"]

বেফাকের জেলাভিত্তিক শিক্ষা অফিস দরকার

আবুবকর বিন রাশেদ : মানুষের সবচেয়ে বড় পরিবর্তন আসে তার শিক্ষার মাধ্যমে। মানুষকে নৈতিক ও চরিত্রবান হিসেবে গড়ে তুলতে ধর্মীয় শিক্ষার বিকল্প নেই। বাংলাদেশে প্রচলিত দুই ধারার শিক্ষাব্যবস্থায় জাগতিক শিক্ষাধারায় পর্যাপ্ত ধর্মীয় শিক্ষা নেই। ধর্মীয় শিক্ষায় পর্যাপ্ত জাগতিক শিক্ষা নেই- এটা আমাদেরকে ক্ষতির সম্মুখীন করেছে। বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ তাদের আওতাধীন মাদরাসাগুলোতে বর্তমানে শিশু থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত জেনারেল কারিকুলাম চলমান রেখেছে, যা পর্যায়ক্রমে ১০ম শ্রেণি মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত উন্নীত করা প্রয়োজন।

শিশু থেকে ৫ম তথা প্রাথমিক স্তরের পাঠ্য বই  শিশুদের উপযোগী এবং মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত যুগোপযোগী পাঠ্যবই প্রণয়ন করা উচিত। কওমিপড়ুয়া ছাত্রদের বহির্বিশ্বে অধ্যায়নের সুযোগ লাভের জন্য আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চাওয়া মানদণ্ডে শিক্ষা কারিকুলাম প্রণয়ন করা প্রয়োজন।

রাজনৈতিক দল বা গতানুগতিক সংগঠনের মত জেলা কমিটি, থানা কমিটি নয় বরং কওমি মাদরাসার সর্বৃহৎ শিক্ষাবোর্ড হিসেবে শিক্ষা কার্যক্রমে সৃজনশীলতা প্রয়োজন সাপেক্ষে সংস্কারের পাশাপাশি জেলা ও থানাভিত্তিক সরকারি শিক্ষা অফিসের আদলে জেলা ও থানা জোন বিভক্ত করে শিক্ষা অফিস ও শিক্ষা অফিসার পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা উচিত। বেফাক নামে মাত্র শিক্ষাবোর্ড না হয়ে অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান গুলোর সার্বিক মান নিয়ন্ত্রণে জোড় দেয়া উচিত।

বিশ্বায়নের এই যুগে ঘরে বসেই ইন্টারনেটভিত্তিক কাজ, তথ্য আদান-প্রদানের জন্য বেফাকের ওয়েবসাইটকে আরো আপডেট করা প্রয়োজন। বেফাক সংশ্লিষ্ট যাবতীয় তথ্য বর্তমান ওয়েবসাইটে সুন্দরভাবে পাওয়া যায় না- এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।

লেখক : নায়েবে মুহতামিম, মাদরাসাতুল মারওয়াহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ