তামাদ্দুন ২৪ ডটকম: অনেক দিনের স্বপ্ন; আশা বাইতুল্লাহ যাব। আলহামদুলিল্লাহ 2019 এর পয়লা জুন পরিবারের সবাইকে নিয়ে আমরা কাঙ্খিত সেই আশা পূরণের লক্ষে পবিত্র উমরাহ এবং ঈদুল ফিতর পালনের জন্য বাসা থেকে বের হই।
রমাদানে উমরাহ পালনে বেশি নেকী। তাই এই সময়টাকেই বেছে নেওয়া। ভোর পাঁচটায় ফ্লাইট। রাত দুইটায় বের হতে হবে। প্রস্তুতি যেন শেষ হয় না। সবার কাছে ফোনে দু‘আ চেয়ে নেই। এর মধ্যে আমার একজন ছাত্রীর সাথে কথা হয়। তিনি আমাদের ফ্লাইট সম্পর্কে জানতে চাইলেন; উনার মেয়ে বিমানবালা। ম্যানেজার পোস্টে আছেন। আমাদেরকে কোন হেল্প করা যায় কিনা সেজন্য উনি খোঁজ-খবর নিলেন। সব জানার পর উনি বললেন,আপা বাচ্চা-কাচ্চা নিয়া যাবেন ইকনোমি..ক্লাসে! দেখি আপনাদেরকে বিজনেস ক্লাসে দেওয়া যায় কিনা। আমি আমাদের টিকেটের পিক আপাকে পাঠালাম।
আলহামদুলিল্লাহ। আমাদের জন্য বিজনেস ক্লাসে সিট ব্যবস্থা করে দিলেন। আল্লাহ উনাকে এর বিনিময়ে উত্তম জাযা দান করুন। আমরা রাত দেড়টায় সেহরি খেয়ে নির্ধারিত সময়ে রওয়ানা হই। আমার আম্মার কথা মনে পড়ে গেল। তিনি যে, কতটা ব্যাকুল ছিলেন ২০১৭ তে সবাইকে নিয়ে হজ্জে যাবেন বলে। ২০১৬ তে ঈদুল আযহাতে বাড়ি থেকে ফিরে এসে আমার বাসায় এসে বলছিলেন..বাবা ইকবালকে বলনা, আমার পাসপোর্টটা করতে...কিডনি প্রবলেমের জন্য ডাক্তার তেমন সাপোর্ট দেননি যদিও... কিন্তু আম্মা সবসময় বলতেন; ইনশাআল্লাহ পারব। আল্লাহর কি ইচ্ছা! বাইতুল্লাহ জিয়ারতের ইচ্ছা পুরণ না হলেও মহান আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে ২০১৭ তেই আল্লাহর দরবারে হাজিরা দিতে চলে গেলেন আমাদের সকলকে কাঁদিয়ে।
আজ যাওয়ার সময় বুকফাটা চিৎকার দিয়ে বলতে ইচ্ছা করছিল... আম্মা যাচ্ছি.. দু‘আ করবেন।
আব্বা ইতেকাফে থাকায় মাসজিদ থেকে গত রাতে দেখা করে এসেছি। এয়ারপোর্টের আনুসাঙ্গিক কাজ সেরে বিমানে উঠলাম ঠিক সময়েই। একেবারে প্রথম দিকে প্রশস্ত সিট দেখে আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া আদায় করলাম। আর আমার ছাত্রী আপার জন্য দু‘আ করলাম। এগার জনের মধ্যে আটটা সিটই বিজনেস ক্লাসে পেলাম।
আলহামদুলিল্লাহ। ছোট ছেলেটা উঠার আগেই কোলে ঘুমিয়ে পড়েছিল। ওর সিট আমার পাশেই। ঘুমে থাকার কারণে আমার কোলে ছিল। কিন্তু বিমানবালা এসে বলল, যার সিট তাকে সেখানেই বসাতে হবে। পাশের সিটে বাধ্য হয়ে হেলান দিয়ে বসিয়ে দিলাম। ঘুমন্ত অবস্থায় কোলে রাখা যাবে না। সিট বেল্টও বাধতে হবে। যাই হোক, সফরের দু‘আ পড়ে নিলাম।
পয়লা জুন। ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে প্লেন ছাড়ল। শুরু হলো আমার বহু কাক্সিক্ষত বাইতুল্লাহর সফর। আলহামদুলিল্লাহ। প্লেন জার্নি আমার কাছে ভালোই লাগে। আমি জানালার পাশে বসাতে বাইরের ছবি সুন্দর দেখতে পাচ্ছিলাম। বাইরের আকাশটা বেশ স্বচ্ছ মনে হচ্ছিল। মেঘ রাজ্যের উচু-নিচু ঢেউয়ের উপর দিয়ে আমাদের প্লেন যাচ্ছে। সে এক অন্যরকম ভালো লাগার অনুভূতি। উচু-নিচু মেঘ কখনো আবার সমান্তরাল হয়ে শুভ্র মসৃন হয়ে দিগন্তে মিলিয়ে যাচ্ছিল।
হঠাৎ প্লেন মৃদু দুলে উঠলো। একটু সোজা হয়, আবার কাত হয়। একটু একটু ভয় লাগছিল। দু‘আ পড়তে লাগলাম।
অনেকেই ভয়ে কান্না শুরু করে দিল। জোরে জোরে দু‘আ পড়ছিল। অনেক যাত্রীই ভয় পেয়ে গিয়েছিল।কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই অবস্থা কেটে গিয়েছিল আলহামদুলিল্লাহ।
অবশেষে আমরা বাহরাইন থেকে ট্রানজিট হয়ে জেদ্দা পৌঁছাই। এয়ারপোর্ট নামার পর সৌদির লু-হাওয়া গায়ে লাগল। গরম তাপ সারা শরীরে ছেয়ে গেল।
এরপর হোটেলে যাওয়া নিয়ে শুরু হল বিড়ম্বনা। এক গাড়ি থেকে আরেক গাড়ি। একেতো রোজা তার উপরে গরম। বসার কোন যাত্রী ছাউনিও নেই। ইহরাম পরা অবস্থায় সবার অবস্থা খুবই করুণ। ছোট্ট ছেলের (তিন বছর) ইহরাম খুলে যাওয়ার অবস্থা। বড় ছেলেকে রোজা ভাঙতে বললাম, কিন্তু সে ভাঙবে না। সেই কষ্টের কথা লিখে ব্যক্ত করা যাবে না। বাচ্চাদের বাবার অবস্থা আর কি বলব; তিনি আমাদের গাইড করছিলেন ।পকিস্তানি ‘মুদির’ যারা গাড়ি তদারকি করছিল, ওদের বাংলাদেশিদের দেখে কেমন যেন ড্যাম কেয়ার ভাব। শেষ পর্যন্ত ৬ষ্ঠ বারে আমরা এক গাড়িতে চড়ে হোটেলে পৌঁছাই। তাও হোটেল থেকে বেশ দূরে আমাদের নামিয়ে দেওয়া হয়।
২ তারিখ ৫টা ৩০ মিনিটে আমরা হোটেলে উঠি। শরীর যেন চলে না। একটু ফ্রেশ হয়ে আবার ইফতারের প্রস্তুতি। রাতের খাওয়ার পর ইহরাম অবস্থায় রেস্ট নিয়ে ২.৩০ মিনিটে তাওয়াফে বের হই। তাওয়াফ, সায়ী, উমরার সব কাজ ৯.৩০ এর মধ্যে শেষ হয়। এখানে উল্লেখ্য, উমরার তাওয়াফের পরে আমরা দুই গ্রুপে অনিচ্ছাকৃত আলাদা হয়ে গেয়েছিলাম। উমরা শেষে ইন্নালিল্লাহ পড়ছি আর দু‘আ করছি। হোটেলে যেন বাকিদের পাই। আলহামদুলিল্লাহ। উনাদেরকে হোটেলে পেয়ে যাই। আমার শাশুড়ি তো কান্না কান্না অবস্থা। আমরাও উনাদেরকে হোটেলে পেয়ে খুশি হলাম। এরপর গোসল, ঘুম এবং বিশ্রাম। ৩.৩০ এ বের হয়ে আসর, মাগরিব ও এশা পরে আবার হোটেলে আসি।
পরদিন ঈদ। ঈদের জামাত বাইতুল্লাহয় পড়ব। মনে অন্যরকম আনন্দ অনুভূত হচ্ছে। দেশের সবার সাথে কথা বললাম। এবার দেশের ঈদের চাঁদ উঠা নিয়া কত কি হয়ে গেল। হঠাৎ...কার্টুন টমের একটা ভিডিও দেখে খুব হাসি পেল...ও..মন...৩০ রোজার পরে.. এবার, ২৯ শে ঈদ... এইটা নিয়ে গান...।
ঈদের জামাতে পবিত্র কাবায় অংশ নিব, পবিত্র হারাম চত্বরে সালাত আদায় করব,ভাবতেই মনটা আনন্দে শিহরিয়ে ওঠে। রাত থেকেই তাই প্রস্তুতি। ইশার সালাত আদায়ের পর হোটেলে ফিরে এসে প্রয়োজনীয় কাজ সেরে নিলাম। ঘুমের জন্য প্রস্তুতি এবং ঘুম। তবে ভালো ঘুম হচ্ছিল না। ফজরের সালাত। তারপর ৬টায় ঈদের সালাত।
আমরা ৪.৩০ এ ঘুম থেকে উঠে বাচ্চাদের ঘুম থেকে জাগিয়ে ঈদের সালাতের জন্য প্রস্তুত করলাম। সবাই খুব তাড়াহুড়ো করছিলাম ঈদের জামাত ধরার জন্য। তিন তলার হোস্টেলের লিফট দিয়ে যখন নিচে নামলাম, হোটেলের নিচে অভ্যর্থনার ডেস্কের উপরে হারাম শরীফের লাইভ দেখাচ্ছিল। গেটের দিকে তাকাতেই অবাক হলাম। হোটেলের গেট লাগোয়া সিঁড়ি পর্যন্ত রাস্তায় মানুষ দাঁড়িয়ে গেছে। আশ-পাশের প্রতি অলি-গলি পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। ৬ টায় সালাত ৪ টায় ওঠেও এই অবস্থা! আসলে রাত ২টা ৩টার দিকে বের হলে জায়গা পেতাম। আমরা বুঝতেই পারিনি। মনে হচ্ছে, ইশার পরেই সবাই যার যার জায়গা বুকিং করে রেখেছে।
যারা তা করতে পারেনি, তাদের স্থান যার যার হোটেলের অলি গলিতেই জায়নামাজ বিছিয়ে আদায় করতে হয়েছে। মনটা খারাপ হয়ে গেল। কত আশা করেছিলাম হারাম চত্বরে ঈদের সালাত আদায় করবো, তা আর হলো না। সালাত আদায়ের পর হোটেলে আমাদের রুমে গেলাম। বাংলাদেশের ঈদের মত এখানে মিষ্টি, পায়েস, সেমাই খাওয়া হলো না; অন্যান্য দিনের মতই মনে হলো। আর হারাম চত্বরে গিয়ে সালাত পড়তে না পারায় খারাপই লাগছিল।দেশের আত্মীয়-স্বজনের সাথে কথা বললাম। মনকে সান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করলাম। প্রতি ওয়াক্ত সালাত আদায়ের জন্য মুসুল্লীদের তৎপরতা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আমার ছোট বাচ্চা থাকার কারণে এক ওয়াক্ত সালাত পড়ে হোটেলে চলে আসতাম, আবার যেতাম। কিন্তু অনেকেই দেখেছি, এক ওয়াক্ত সালাত শেষ করে হারামেই থেকে যেত। খাওয়ার সময় ওখানেই খাওয়া ও ঘুম। হোটেলে যাওয়ার কোন তাড়া নেই।
আমরা আসরে যেয়ে মাগরিব, ইশা আদায় করে হোটেলে আসতাম। মাগরিব পড়ে কিছু সময় পাওয়া যেত। প্রতিদিনই হারাম চত্বরের পাশের এক দোকান থেকে খাবার পাঠাত, সেই দোকানী এক সময়ে তানযীমের বাবুর্চীর কাজ করতো। বাচ্চাদের জন্য জুস, ফ্রেন্সফ্রাই, চিকেন ইত্যাদি প্রায় প্রতিদিনই পাঠিয়ে দিত। আল্লাহ তাকে উত্তম জাযা দান করুন।
সফরে বাচ্চা থাকার জন্য সবক্ষেত্রে এক্সট্রা প্রস্তুতি নিতে হয়। প্রতি ওয়াক্তে ট্রলি করে ছোট বাচ্চাকে নিতে হতো। ট্রলিতে আরেক সুবিধা আছে, মেঝ ছেলের যখন হাটতে ইচ্ছা করতো না, সেও ট্রলিতে চড়ে বসতো। ট্রলির সাথে জুতার ব্যাগও ঝুলিয়ে নিতে সুবিধা। সাথে খালি পানির বোতল নিতাম। সালাত শেষে জমজমের পানি তাতে ভরে নিয়ে আসতাম।
জমজমের পানি আল্লাহর একটা বিশেষ নিয়ামত। সেই অবারিত নিয়ামতের এত কাছ থেকে সেই নিয়ামতের স্বাদ নিব না তাতো হতেই পারে না।খাওয়ার জন্য আমরা জমজমের পানিই খেতাম। হঠাৎ কখনো স্বল্পতা দেখা দিলে, কিনে আনতাম।
সালাতে আসা-যাওয়ার পথে অনেক বয়স্কা মহিলাকেও দেখেছি, পাঁচ লিটারের পানির বোতল মাথায় করে নিয়ে যেত। কোন রকম হাতের সাহায্য ছাড়া। আমি শুধু তাকিয়ে দেখতাম। কিভাবে সম্ভব! আসলে আমরা বাংলাদেশীর পারবো না।
তাছাড়া আরো একটা বিষয়, আমরা আমাদের দেশে দেখি, বয়স হলে বা অনেকে সামর্থবান হলে হজ্জ ও উমরা করার মতো প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখলাম এগুলো কোনো বাধাই না। মানুষ তাওয়াফ করছে, ছোট্ট কোলের বাচ্চা নিয়ে। এমনকি এক বাচ্চা ট্রলিতে, আরেক বাচ্চা বাবার কাঁধে, আরেক বাচ্চা মায়ের হাত ধরে।
কোলের দুইজন বাচ্চার জন্য, তিন বাচ্চার জন্যও অহরহ দুই তিন সিটের ট্রলি ব্যবহার করছে।
আমাদের দেশে বাচ্চা ছোট থাকলে অনেকেই সাহসই করে না সাধারণত। তবে এখন ধীরে ধীরে মানুষের সচেতনতা বাড়ছে। ইসলামের বিধি-বিধানের প্রতি মানুষের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আলহামদুলিল্লাহ।
উমরার সফরে যখন হোটেলে আসতাম, তখনি মনে হতো ,কখন হারামে যাবো, মনটা সেখানেই পড়ে থাকতো। বাচ্চাদের মধ্যে এবং বড়দের মধ্যে তো একটা প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গিয়েছিল। কে কতবার তাওয়াফ করলো। একজন আরেক জনকে প্রশ্ন করতো, এই তোমার কয়বার? আমার তো এতবার। তোমার কয়টা হয়েছে?
তাওয়াফ সবাই মিলেও করা হতো। আবার আলাদা আলাদ করা হতো। আমার কেবল, একবারই নিরিবিলি বাচ্চাদের ছাড়া ওদের বাবার সাথে তাওয়াফের সুযোগ হয়েছে। মনটাকে উজাড় করে কাবার চত্বরে তাওয়াফ করলাম।
প্রতি তাওয়াফের পর এমন জায়গা খুঁজতাম, যেন কাবা আমার চোখের সামনে থাকে। কোন পিলারের আড়ালে বসতাম না। জায়গা সব সময় মন মতো পাওয়া যেত না। চেষ্টা করতাম-কাবাকে সামনের রেখে সালাত আদায় করতে। কি যে এক প্রশান্তি; কি এক মায়াময় পরিবেশ; মনে হয় সারাক্ষাণ থেকে যাই।
হৃদয়কে বারবার হাতছানি দেয়। কবে আবার কাবাকে ছুতে পারবো। ঐ পবিত্র আঙিনায় সালাত আদায়ের আবার কবে সুযোগ পাবো। বাচ্চাদেরকে নিয়ে উমরার সফরে সব কাজই একটু সময় নিয়ে করতে হয়েছে। হোটেল থেকে বের হলেই-দু’ রিয়ালের দোকানগুলো থেকে হাঁকডাক ওদেরকে চুম্বুকের মত-আমাকেসহ দোকানে নিয়ে যেত। 'দু’ রিয়াল/আ’শরা রিয়াল, আ’শরা রিয়াল"দোকানীদের এই ধরনের হাঁকডাকে বাচ্চারা যেন কখনো মিস করতে চাইত না। সালাত থেকে আসার পথে একবার, যাওয়ার পথে একবার দু’রিয়ালের দোকানে যেতেই হবে, খেলনা কিনার চাহিদা যেন ফুরায় না। স্পিনার খেলনা যে কয়টা কিনেছে, হিসাব নেই। কোনো কোনো খেলনা হোটেলে আনার পরেই হায়াত শেষ।
একবার এমন হয়েছে, আমার ছোট দুইজন কে (ছেলে) দোকানের ট্রলি দিলাম, ইচ্ছামত যা মন চাইছে ট্রলিতে ভরছে। দেখলাম অবস্থা খারাপ। ট্রলি ভরে গেছে খেলনায়। দোকানীর কাছে ট্রলি দিলাম চুপে চুপে। কিছু রেখে বাকিগুলো ফেরত দিলাম। হোটেলে এসে ছোট জন বলে, আম্মু আমার ঐ খেলনা কোথায়? আমি তো নিয়েছিলাম- আমি চুপ..। যেগুলো আনা হয়েছে, ওগুলো দেখিয়ে বললাম, “এই যে তোমার খেলনা।”
তবে চাইনিজ খেলনাগুলো আমাদের দেশের তুলনায় সৌদিতে তুলনামুলক দাম কম। দাম বেশি হলে উপায় ছিল না।
হোটেল থেকে হারাম চত্বরে যেতে যেতে রাস্তাটা পরিচিত হয়ে গিয়েছিল। আমাদের দেশের লোকজন বেশির ভাগই “ঢাকা রেস্টুরেন্টের” কাছের হোটেলগুলোতে থাকে। আমরা ছিলাম- হোটেল “ক্বহির আল সাহারাতে।” রাস্তা মোটামুটি পরিচিত হওয়ায় একদিন একাই গেলাম তাওয়াফে। বাংলাদেশ টাইম ৯টা-১০টা। তখন একটু রোদের প্রখরতা বেশি থাকে। ঐ সময়ে হারামে একটু ভীড় কম থাকে। তাই এ সময়েই সাহস করে বের হলাম। মরহুমা আম্মার পক্ষ হতে তাওয়াফ করলাম। মন ভরে পিতা-মাতার জন্য দু‘আ করলাম। তাতে মনে অন্যরকম প্রশান্তি অনুভব করলাম।
0 মন্তব্যসমূহ